“ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” এইটার মূল কথাটাই আমরা ধরতে পারি নাই দেইখা খারাপ লাগে। আমাগো দেশে এই লইয়া মুসলমান-হিন্দুগো মইধ্যে রেষারেষি আছে। তাই এই লেখাডা মুসলমান আর হিন্দু নির্ভর।
সাধারণত হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসবগুলান হয় একটু আড়ম্বরপূর্ণ এবং হৈ-হুল্লোরমুখর। তাদের মূল ধর্মীয় অনুষ্ঠানের বাইরেও অন্যান্য জমকালো অনুষ্ঠান হয়। অপরদিকে আমাগো মুসলমানগো ধর্মীয় অনুষ্ঠান যথেষ্ট ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণভাবে সম্পাদিত হয় এবং ধর্মীয় উৎসবের বাইরে আলাদা কোনো অনুষ্ঠান হয় না।
“উৎসব সবার” বলতে অন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের কথা বলা হয় না বরং অন্যধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রতি পারস্পরিক সম্মান বিদ্যমান রাইখা সবাই মিললা উৎসব পালনরে বুঝানো হয়। ইদ উপলক্ষে যখন পাড়ায় পাড়ায় সাউন্ড সিস্টেম বসায়া আউলা ঝাউলা গান ছাড়ে এলাকার পোলাপাইনরা, সেইখানে কি এলাকার হিন্দু পোলাপাইন যোগ দেয় না? কিংবা শবেবরাতের রাইতে আতশবাজি ফাটানের বেলায়? তারা কি মুসলিম উৎসব উপলক্ষে ছুটি বয়কট করে নাকি প্রচারিত নাটক – অনুষ্ঠান বয়কট করে?
আমরা হিন্দুদের প্রসাদের সাথে আমাদের কোরবানিকৃত গরুর মিল খুইজ্জা বসি অনেকে। আমরা মুসলিমদের মিলাদ মাহফিলে তবরক হিসাবে দেওয়া মিস্টান্নের সাথে প্রসাদের তুলনা হইতে পারে আর আমাদের কুরবানিকৃত গরুর সাথে হিন্দুদের বলিকৃত পাঠার। আরেকটা বিষয় আছে, সেইটা হইলো আমরা মুসলমানরা যারা এই নিয়া লাফাই তারা কিন্তু শুধু কুরাবানির গরুর কথাই বলি, ছাগলের কথা বলি না!
এখন, আমরা কুরবানির কিংবা অন্যান্যক্ষেত্রে গরু খাওয়ানের আহবান জানাইয়া যেমনে হিন্দুদের আক্রমণ করি তারা কি শুকর কিংবা বলিকৃত পাঠার ক্ষেত্রে একই কাজ করে আমাদের সাথে? তাছাড়া, হিন্দুদের ধর্মীয় “নীতি” অনুসারে, মুসলমানদের সংস্পর্শে জাত যাওনের বিষয় আছে (এই ধর্মীয় নীতি কতোটুকুন গ্রহণযোগ্য বা ধর্মমতে সঠিক সেইডা অন্য বিষয়।) কিন্তু আমাদের মুসলমানদের ক্ষেত্রে এইরকম রীতিনীতি খোঁজ পাওন যায় না।
যাই হোক, আমরা মুসলমানরা নিজেদের ইসলাম ধর্মরে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং শান্তির ধর্ম বইলা মানি। এখন সেইডা তো আমাদের আচরণ দিয়াই প্রকাশ করন লাগবো, শক্তি প্রকাশ কইরা তো আর না! ধর্মীয় উগ্রমত সবখানেই আছে, তার উপরে ভিত্তি কইরা নিজেদের উগ্র হিসাবে তুইলা ধরাডা তো কামের কাম না!
লিখেছেন – Akib Ahmad
#Peace#Tolerance#Diversity#Harmony#Coexistence#Day47#100DaysOfPositivity#SpreadPositivity#PositiveBangladesh