পার্থক্যটা আর দশজনের সাথে তখনি হয়ে গেলো যখন নতুন নতুন কম্পিউটারে গেম খেলায় অন্যান্য সবাই মত্ত আর ছেলেটা নিজেকে জিজ্ঞেস করে বসলো, ‘আচ্ছা, এইসব গেম বানানো হয় কি করে?”
পড়াশোনা করছে তখন ক্লাস ফাইভে। তখনকার দিনের স্লো ডায়াল-আপ ইন্টারনেটে সে সার্চ দিলো, এবং উত্তর এল প্রোগ্রামিং। এই ঝোঁক দেখে তার বাবা নিউ মার্কেট থেকে এনে দিলো কম্পিউটার শিক্ষার উপর বই। ঝোঁক যত বেড়েই চললো, নিজ দায়িত্বে বই কিনে শিখতে থাকলো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ, C, C++, জাভা ইত্যাদি। এইদিকে বাবা-মা ও একটু স্বস্তিতে, ছেলের এই ঝোঁকের কারণে বাইরে বাইরে ঘুরছে কম।
২০১১-১২ এর দিক, তখন বাংলাদেশে আউটসোর্সিং,ফ্রিল্যান্সিং এর একটা জনপ্রিয়তা তৈরি হয়। মার্কেটের চাহিদা দেখে ঠিক ছেলেটা ঠিক করলো শেখা দরকার ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। শুরু হয়ে গেলো ফ্রিল্যান্সিং। সবকিছু চিন্তা করে দেখলে যেখানে তার পড়াশোনা করার কথা সি.এস.ই ধরনের কোনো বিষয়ে। কিন্তু চিন্তাভাবনা যেখানে সুদূরপ্রসারি, ভর্তি হয়ে গেলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে, কারণ লক্ষ্য যে উদ্যোক্তা হওয়া।
মোটামুটি সেই ক্লাস ফাইভ থেকে আজকে ২০১৮ এর মধ্যে পার হয়ে গেছে ১০ বছর। কাছের মানুষ আতিফ আহমেদ অক্ষরের সহযোগিতায় শুরু হয়ে গেলো তাদের একটি টেকনোলজি স্টার্টআপ।
এখন ছেলেটার ডেজিগ্নেশনটা লেখা হয় এভাবে-
Fahim Murshed
চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (CEO)
Symbl
ফাহিম আমাদের কাছে একটি অনুপ্রেরণা। ছোট্ট একটি প্রশ্ন থেকে বের হয়ে এলো তার জীবনের লক্ষ্য, দরকার হয়েছিল একটু সহযোগিতা আর নিরলস পরিশ্রম। ছোটবেলা থেকেই নিজের আগ্রহ আর ভালোবাসার জায়গায় কাজ করে এভাবেই অনেক বড় কিছুর দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেই গড়ে উঠবে আমাদের স্বপ্নের Positive Bangladesh.