বইমেলা, বাংলা একাডেমি, ২০১৬।
বাংলাদেশী কমিক বলতে কিছু হয় জানা ছিলো না।কিন্তু DHAKA Comics স্টলে বাংলাদেশী কমিকের সন্ধান পাওয়া গেলো- ‘ডিনয়েড:৩২’।
মুগ্ধ হয়ে এক বসায় ৭-৮ বার পড়ে ফেলা হলো। টুকটাক ছবি আগের থেকে আঁকা হতো তবে নতুন একটা অনুপ্রেরণা আসলো কমিক বুকের স্টাইলে ছবি আঁকার। শুরু হয়ে গেলো প্র্যাকটিস দিন-রাত। ক্লাসে বসে ছবি আঁকতে আঁকতে, দৃষ্টি আকর্ষণ হয়ে গেলো একজন-তিনজন, এভাবে স্কুলের অনেকেই চিনে ফেললো আর্টিস্ট হিসাবে।
সকলের ইতিবাচক মন্তব্যের অনুপ্রেরণা থেকে মনে হলো “আরেহ! কমিকবুক আর্টিস্ট হওয়াই তো উচিত আমার!”
যেকোন ধরনের আর্টফর্ম চর্চা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার গল্পে থাকে বাধা,হতাশা,নিজের দক্ষতাকে প্রশ্ন করা,পারিবারিক চাপ ইত্যাদি। ছেলেটার বেলাতেও তার কোন ব্যাতিক্রম ঘটেনি।
স্কুলের গন্ডি থেকে বের হয়ে বাস্তব জগৎ একটু কঠোরই হয়ে যাচ্ছিলো সমালোচনার মুখে। তখন একটি নক এলো কার্টুনিস্ট তন্ময় ভাইয়ের থেকে (Tanmoy Cartoons)।
তন্ময় – “তোমার ড্রয়িং বেশ কুল!তুমি কি আমাদের সাথে কাজ করতে চাও?”
ছেলেটা – “অবশ্যই!”
তন্ময় ভাই সহ আরও কয়েকজন কার্টুন পিপলের সাথে দেখা ঢাকার লিট ফেস্টে। এভাবে পরিচয় হয়ে গেলো Cartoon People নামের গোটা এক কমিউনিটির সাথে।নতুন অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনার শুরু এখান থেকেই। বিভিন্ন কার্টুনিস্টদের সাথে উঠা-বসা, তাদের থেকে শেখা,অন্যের কাজ দেখা, চিন্তাভাবনার প্রসার, সবকিছু মিলিয়ে আজকের ছেলেটার বয়স মাত্র ১৮। কাজ করছে বিভিন্ন সংবাদপত্রে কার্টুনিস্ট হিসেবে। নিজের পেজ ARTillery থেকে প্রচার হচ্ছে তার সকল সৃষ্টির নমুনা যেগুলো ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তরুণ সমাজের মাঝে।
এই দারুণ সম্ভাবনাময় ছেলেটি হচ্ছে Adib Reza Rongon। Positive Bangladesh মনে করে বাংলাদেশের অন্যতম সফল ভবিষ্যত কার্টুনিস্ট/কমিকবুক আর্টিস্ট হিসেবে পরিচয় পাবে এই মেধাবী তরুণ।
আমরা দেখলাম, অল্প একটু অনুপ্রেরণা থেকেই কেউ হয়তো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারে যে তার জীবণের লক্ষ্য কি হবে এবং একটি কমিউনিটির ইতিবাচক পরিবেশ একজনকে তার লক্ষ্যের পিছে ছুটতে অস্বাভাবিক রকমের সহযোগিতা করে থাকে। এভাবেই নিজের সময় ও শক্তি যেকোন ইতিবাচক চর্চায় উৎসর্গ করলে তার ফলাফল পুরো জীবনটাকেই বদলে দিতে পারে।
#Episode6 #ARTillary #PositiveBangladesh #WeArePositiveBangladesh #P2PChallenge