সময় – ২০১১ সাল
প্রফেসর প্লুটোনিয়াম তার ল্যাবরেটরিতে একটা নতুন এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে ব্যস্ত। একটা বিশেষ প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন তিনি।শুরুতেই তিনি খুব যত্নসহকারে উপাদান গুলো পরিমাপ করলেন। একটু ভাবলেন। তার এই প্রজেক্টকে কি নাম দিবেন তিনি। কটমটে কোনো বৈজ্ঞানিক নাম।নাহ, তিনি আবার এক মুহূর্ত ভাবলেন। এটা কোনো সাধারণ প্রজেক্ট হয়ে থাকবে না। উপাদান গুলো আরেকবার দেখে নিলেন। অবজারভেশন, পারসেপশন আর এম্প্যাথি। ল্যাবরেটরির হালকা উত্তাপে মৃদু মৃদু ঘামছেন প্রোফেসর। একটু সময় নিলেন, একটু থামলেন। এবার সময় হয়েছে……
সময় – ২০১৯ সাল
সামিরার বয়স আট। ঢাকা শহরের তীব্র কোলাহল আর যানজটের মাঝে তার বেড়ে উঠা । নিজের মতো আর দশজন কিশোর কিশোরীর থেকে একটু আলাদা আমাদের গল্পের সামিরা। ছবি আঁকে সে, ঘুরে ফিরে মাথায় গল্প ফেঁদে কমিক বানায়। এখানে তুমি বলতেই পারো, এটা আলাদা হবার কি আছে? আমার কত কত বন্ধুইতো আকাঁআঁকি করে।সামিরা আলাদা হলো কিভাবে ? সামিরা আলাদা কারণ সে দেখতে ভালোবাসে চারপাশের দৃশ্য আর ঘটনা গুলো। তার ভীষন ব্যস্ত শহরটায় কি কি হচ্ছে, কে কি করছে আর বলছে।প্রচন্ড অবজারভেশনাল ক্ষমতা তার। অনেক বেশী পারসেপশনাল, সহমর্মী মনোভাবের। তার বাবা প্রফেসর প্লুটোনিয়াম তাই মাঝেমাঝেই তাকে বলেন, “সামিরা জানো তো তুমি কিন্তু সবার থেকে আলাদা, অসাধারণ। ছোট্ট সামিরা কাঁধে ভারী ব্যাগপ্যাক নিয়ে টইটই করে ঘুরে বেড়ায় শহরের রাস্তাঘাট আর চেনা অচেনা নানা গলি ঘুপচি। আর বাসায় ফিরে সারাদিনের ইত্যাদি ইত্যাদি ঘটনা গুলোর সাথে একটু কল্পনা মিশিয়ে এঁকে ফেলে তার কমিক গুলো। তার কিশোর মনে এইসব ঘটনা গুলোর অনেক কিছুই বোধগম্য হয়ে উঠে না। হঠাৎ করেই সেদিন আমাদের হাতে চলে আসে সামিরার কমিকের খাতাটি। আর আমরা আবিষ্কার করি সামিরার দেখার আর চিন্তার এক নতুন জগত। সামিরার সেই কমিক গুলাই আমরা এবার আপনাদের সামনে তুলে ধরছি পজিটিভ বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে। চলুন ঘুরে আসি তাহলে সামিরার কমিকের রাজ্যে……..
#StoriesofSamira #OriginStory #Peace #Tolerance #Harmony #Diversity #SpreadPositivity #PositiveBangladesh